শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৩৪

বিশ্বকে শিশুর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শিশুর মধ্যে লুকায়িত পূর্ণ সম্ভাবনার উন্মেষ ঘটাতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বর্তমান বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিশুদের নৈতিক শিক্ষা প্রদানের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপ্রধান।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় শিশু ও পুরস্কার প্রতিযোগিতা- ২০২০ ও ২০২১’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন আবদুল হামিদ ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর একটা ব্যক্তিত্ব আছে, এই ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করে দিন। আদর, স্নেহ, ভালোবাসার পাশাপাশি শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলুন।’

শিশুরা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারে, এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদেরও এগিয়ে আসার তাগিদ দেন আবদুল হামিদ।

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘ভবিষ্যতে তারাই বহন করবে দেশের দায়িত্বভার। এজন্য শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সৃজনশীল মেধাসম্পন্ন প্রজন্ম গড়তে সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রভাব অপরিসীম। বিদ্যার্জনের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের সম্পৃক্ত করে তাদের মানসিক বিকাশের পথ সুগম করা জরুরি।’

‘শুধু অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের শিশু নয়, সর্বস্তরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে বৈষম্যহীন মনোভাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের খুব ভালোবাসতেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘তিনি সময় পেলেই শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশুদের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিশুদের আলোকিত নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পরিবার থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সমাজের প্রত্যেকের। শিশুর মেধা বিকশিত করতে প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ, পরিচর্যা ও অনুপ্রেরণা।’

‘দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা কোমলমতি মেধাবী শিশুদের খুঁজে এনে সঠিক প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিল্পী, আঁকিয়ে বা ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে হবে, যেন তারা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও সফলতা লাভ করতে পারে।’

রাষ্ট্রপতি জানান, জাতীয় কর্ম পরিকল্পনায় শিশুর স্বাস্থ্য-পুষ্টি, শিক্ষা-বিজ্ঞান প্রযুক্তি ইত্যাদিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের উন্নয়নের জন্যও রয়েছে নানা কর্মসূচি ও পরিকল্পনা।

আবদুল হামিদ শিশুদের জন্য যেন গবেষণা ও চাহিদাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে খেয়াল রাখারও নির্দেশ দেন, কেননা এ প্রক্রিয়ায় শিশুদের মতামতেরও প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিশুদের সঠিক শিক্ষা যেমন ন্যায়-নীতি, সত্য-মিথ্যার বিভেদ, সততা, দয়া, দেশপ্রেম, জীবপ্রেম ইত্যাদি প্রদানের মূল কাজ আপনাদের।’

বর্তমান বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিশুদের নৈতিক শিক্ষা প্রদানের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে শিশুদের হাতে মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক ডিভাইস, ফলে শিশুরা আজ মোবাইলে আসক্ত। তারা খেলার মাঠে বেশি যায় না, শিল্প-সাহিত্য চর্চা করে না, প্রকৃতি-পরিবেশ চেনে না।’

তিনি প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিক থেকে সন্তানদের রক্ষা করে নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদের সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।

শিশুদের উপদেশ দিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তোমরা সবসময় সচেষ্ট থাকবে।’

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ২০২০ এবং ২০২১ সালের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ শিশু অংশ নেয়। ৩০টি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্যে প্রতিযোগিতার বিজয়ী ৪৭৪ জন শিশু পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। ২০২২ সালের ৬ জন ও ২০২১ সালের ৬ জন মিলিয়ে মোট ১২ জন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেয়।

অনুষ্ঠানে শিশুর উন্নয়ন, বিকাশ ও সুরক্ষা বিষয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে স্মারক গ্রন্থ ‘আলোর ফুল’ প্রকাশিত হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল প্রমুখ।


কাঁচা মরিচের কেজি দেড় শ টাকা, গরম ডিম-সবজির বাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। মাসিক আয় ৩৫ হাজার টাকা। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামের চাপে মাসজুড়েই চিন্তিত থাকতে হয় তাকে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে এসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে চোখ কপালে উঠেছে।

কেননা সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ৮০-১০০ থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে। আলু, পেঁয়াজ, সবজির দামও চড়া।

তাপপ্রবাহের অজুহাতে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দামও। মাংসের দামও বাড়তি। বাজারের উত্তাপে জাহাঙ্গীরের মতো অনেকেই পুড়ছেন।

গতকাল ছুটির দিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ক্রেতার আনাগোনা বেশি হলেও দামে স্বস্তি নেই। প্রায় সব নিত্যপণ্য কিনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম।

দাম বৃদ্ধির তালিকায় বড় লাফ কাঁচামরিচের। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কেনা গেলেও এখন তা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বিক্রেতাদের অজুহাত, বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম বেড়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ ক্রেতারা।

৬০ টাকায় আলু আর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যান্য সবজি গড়ে ৫০ টাকায় মিলছে। স্থান ও মানভেদে চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং মান ও জাতভেদে পটোল ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, চাকরি বা কাজ করে যে বেতন পাওয়া যায় তা দিয়ে বাজার করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় ধরে একই স্কেলে বেতন পাচ্ছি। কিন্তু খরচের খাতা দিনকে দিন লম্বা হচ্ছে। ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কোনো কোনো পণ্য তো তিনগুণ দামেও কিনতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা কম দামের সবজি সব সময় কিনে থাকি। কিন্তু এখন কম দামের সবজিও কিনতে পারছি না। কয়েক বছর আগেও বাজারে প্রতি কেজি আলু কেনা যেত ২০ থেকে ২৫ টাকায়। তা এখন তিন ডাবল দামে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি পটোল কিনেছি মাত্র ৩০ টাকায়। তা এখন ৬০ টাকার নিচে কেনাই যাচ্ছে না। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে বাড়তে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, কম দামের সবজিও এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, গত এক মাসে অধিকাংশ সবজির দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিছু কিছু সবজির দাম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

ডিম কিনতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাজারে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দামের পরিবর্তন না হলেও প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।

সরকারি বিপণন কর্তৃপক্ষ টিসিবির তথ্য অনুযায়ী গত এক মাসে গড়ে ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে ২১ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ডিমের ২৯ শতাংশ ও ব্রয়লারের কেজিতে ২১ শতাংশ দাম বেড়েছে।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী গত মাসের শুরুর দিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হলেও কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। সোনালি মুরগি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল ডিম ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে প্রতি ডজন (লাল) মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, মাংসের দাম তেমন একটা কমেনি, আগের মতোই আছে। সেজন্য আগের তুলনায় এখন বিক্রি কম হচ্ছে।

শুধু ডিম, মুরগির দামই বেশি না। বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মাছের বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ মাছের কেজিতে দাম অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। রুই মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৮৫০, কই মাছ ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬৫০, টেংরা ৮০০, পাবদা ৫০০ ও প্রতি কেজি বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

মূল্যবৃদ্ধিতে রয়েছে ব্যবসায়ীদের নানান অজুহাত। অন্যদিকে, লাগামহীন বাজারে নেই সরকারি কোনো সংস্থার তদারকি।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোলাইমান মিয়া বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।

সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।’

এজাজ মাহমুদ নামের আরেকজন বলেন, ‘মাছ-মাংসের দাম না হয় বাড়তি মানা যায়, কিন্তু শাকসবজি যদি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে, তাহলে আমরা খাব কী?’


পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য।

তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের বেশ কিছু শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি করেছেন। পরে গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির আহ্বায়ক ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘৮-১০ দিন আগে এ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ‘শরীফার গল্প’ নামে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে। আর কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।


যেসব এলাকায় আগামীকাল ১৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সেকশন-১-এর অ্যালাইনমেন্টে গ্যাস পাইপলাইন জরুরি স্থানান্তরের জন্য উত্তরা ও আশপাশের এলাকায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং সংলগ্ন এলাকার গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আগামীকাল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলন উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। দিনব্যাপী তিনটি অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলম কুদ্দুস প্রমুখ।

সম্মেলনে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের পাশাপাশি সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।


ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস, নীতিমালা আসছে: জুনাইদ আহমেদ পলক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, ‘আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেখানে অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসকে আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করব। যাতে এর নিচে কেউ ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিতে না পারে। আমরা যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সুলভ মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট দিতে পারি, এটা আমাদের লক্ষ্য।’

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন’।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক ও ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিগুলো যেভাবে আমাদের জীবনকে সহজ করছে, একইভাবে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এআই প্রযুক্তি একদিকে যেমন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে, অন্যদিকে আসল-নকল চেনাটা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্ব এআই আইন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে এআইয়ের সম্ভাবনা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তারা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারে। তবে এটার যে ঝুঁকি সেটি মাথায় রেখে আমরা কিছু দিকনির্দেশনা দিতে পারি।’

ওই সময় তিনি আরও দুটি আইন করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নতুন টেলিকম আইন প্রণয়ন করব। এ ছাড়া আমরা আমাদের নাগরিকদের জন্য ব্যক্তিগত ডেটা নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছি। যাতে নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।’

বাংলাদেশে মেধার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দরকার একটু সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার। সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের নেতৃত্বে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। ওনার দূরদর্শিতা দিয়ে উনি বুঝতে পেরেছিলেন, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, সোনার বাংলা গড়তে হলে। প্রতিটি মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে, সোনার মানুষে পরিণত করতে পারলেই আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই, আমরা আজকে একটি গণতান্ত্রিক, মধ্যম আয়ের প্রযুক্তিনির্ভর মর্যাদাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি ফিরে না আসতেন, তাহলে আজকে আমরা হয়তো একটি দরিদ্র, সন্ত্রাসকবলিত ব্যর্থ রাষ্ট্রের অসম্মানজনক নাগরিক হিসেবেই হয়তো আমাদের পরিচয় দিতে হতো।’

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ ২০ বছর পিছিয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১৯৯২ সালে আমরা বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম; কিন্তু খালেদা জিয়ার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা যুক্ত হতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা এখন দুটি সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত এবং আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সর্বত্র বিরাজ করছে। আমরা আমাদের দ্বিতীয় নিজস্ব স্যাটেলাইট চলতি মেয়াদে উৎক্ষেপণ করতে পারব বলে আশা করছি।’

চলতি অর্থ বছরে নগদের কাছ থেকে ডাক বিভাগ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রকার বিনিয়োগ না করে আমরা শুধু ইনফাস্ট্রাকচার ও পলিসি সাপোর্ট দিয়ে আমরা আয়ের পথ তৈরি করতে পেরেছি। নগদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সর্বমোট আমরা ১৪ কোটি টাকার বেশি পেয়েছি।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম ম আমিরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডিজিই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অ্যান্ড কম্পোনেন্ট লিডার মো. আব্দুল বারী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে নতুন স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।


আবারও দুই দিন হিট অ্যালার্ট জারি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন করে আরও দুই দিন হিট অ্যালার্ট জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে কিছু কিছু জায়গায় আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে তাপ কিছুটা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওই আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ঋদ্ধ হবে : নসরুল হামিদ

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি আরো ঋদ্ধ হবে।

তিনি বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে জাপানিজ কৃষ্টি, শিক্ষাদীক্ষা চর্চা ও অনুশীলন করতে পারলে আমাদের সংস্কৃতি আরো মার্জিত হবে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতির নানা-উপাদানের প্রদর্শনী বাড়ানো গেলে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও জোরদার হয়।’

প্রতিমন্ত্রী আজ কেরাণীগঞ্জে হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাপান দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, এই ক্যালিগ্রাফি কর্মসূচির মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীরতর হবে। সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অভিব্যক্তি বিনিময় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাপানি ক্যালিগ্রাফির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবেন। ক্যালিগ্রাফি করতে একাগ্রতা ও স্থির হতে হয়, যার মাধ্যমে নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার মাধ্যমে এই গুণটাও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।

রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি বলেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।

উল্লেখ্য, কর্মশালাটির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জাপানি ক্যালিগ্রাফির রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। কর্মশালাটি পাঁচটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ২০ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে এবং প্রতিটি সেশন ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে।

বিখ্যাত জাপানি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী সাতোকো আজুমা এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল ফাহমিদা নবী এবং ইয়থ গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও হামিদ স্পোর্টস একাডেমির পরিচালক ড. সীমা হামিদ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।


‘প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়িয়েছেন’

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন শুক্রবার সুনামগঞ্জে পুলিশের কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধন শেষে পুলিশ ফাঁড়িতে প্রেস ব্রিফিং করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের সুযোগ-সুবিধা অনেক বৃদ্ধি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ শুক্রবার পুলিশপ্রধান সুনামগঞ্জে পুলিশের বেশ কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধন শেষে শহর পুলিশ ফাঁড়িতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশের জন্য যে খরচ করা হয় তা ব্যয় নয়, বিনিয়োগ। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলে পুলিশ আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চায়। জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে চায়।

আইজিপি বলেন, সারা দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। তাই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ সেভাবেই কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের সব মেধা-শ্রম মানুষের কল্যাণে ব্যয় হবে। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘সুনামগঞ্জ আমার জন্মভূমি। মায়ের কাছে এলে যেমন প্রশান্তি পাওয়া যায়, তেমনি নিজ এলাকায় এসে আমার প্রশান্তি লাগছে। আমি স্বস্তি বোধ করছি, আনন্দ বোধ করছি। সুনামগঞ্জ এখন পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। তাই আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশের ১০ সদস্যর একটি ইউনিট দিয়েছি। ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে।’

আইজিপি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য অর্জন করেছে। পুলিশ জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় আছে। জঙ্গিবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এর আগে তিনি শহরের ওয়েজখালী এলাকায় পুলিশ অফিস অফিসার্স মেস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, সুনামগঞ্জ শহর পুলিশ ফাঁড়ির অভ্যন্তরে নবনির্মিত চারতলা বিশিষ্ট স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন। ওই সময় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে বসবাসের আবেদন বাতিল হওয়া প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির আওতায় এই বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

গতবছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র ভ্রমণ কিংবা কাজের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য আশ্রয়ের আবেদন করেন। প্রাথমিক আশ্রয়ের জন্য তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন বাতিল করে দেয় যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজ করতে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্গে এ নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর আগে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়। উভয় দেশ পারস্পরিক অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতার ব্যাপারে জোরালো অঙ্গীকার করে।

এই চুক্তির আওতায় আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘ফাস্ট-ট্রাক’(দ্রুত) পদ্ধতিতে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া যারা অপরাধী ও ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশের পর বাড়তি সময় থাকছেন তাদেরও ফেরত পাঠানো সহজ করবে চুক্তিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন।

এতে আরও বলা হয়, ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্য দেশের মানুষকে যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন করলে সেখানে তার অবস্থান অনির্দিষ্ট হয়ে যায়। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেন যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি। ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর আশ্রয় প্রার্থীর শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান, এরপরের অবস্থানে আছে বাংলাদেশ, ভারত, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তান। গত বছর যুক্তরাজ্য থেকে বিভিন্ন দেশের ২৬ হাজার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা: খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র তার হাতেই সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ শুক্রবার নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্বরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্রের। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। ওই দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই। এ সময় গণতন্ত্র মানেই শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ

মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল তারেক ১৯৮৯ সালে কমিশন লাভ করেন। সামরিক কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে স্টাফ ও কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডিরেক্টর স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সমগ্র কর্মজীবনে তার প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে আছে বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কমান্ড্যান্ট, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ৪৪ এবং ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার।

মেজর জেনারেল তারেক অ্যাঙ্গোলা এবং আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র সম্মানও পেয়েছিলেন। তিনি সারা বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের অনন্য সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ভারতের ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ এবং পেনসিলভেনিয়ায় ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ।


‘বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৪ ১২:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৬ জুন বাজেট পেশ করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব।

আজ শুক্রবার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৬ তারিখে বাজেট দেব। বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তীতে উত্তরণ করতে পারব সে আত্মবিশ্বাস আছে।’

গ্রামের অর্থনীতি বদলে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতেন না, তারা এখন চারবেলা খান। হাট-বারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতি থেকে ঈদের আগে ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে।’

অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে টানা চারবারের সরকার প্রধান বলেন, ‘অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়, কীভাবে মানুষের উপকার হবে। তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই তিনি এটা শিখেছেন।’


‘দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৪ ১২:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত উন্নয়নে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ’ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। আর এগুলোকে জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন এবং এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খাতের সুষ্ঠু বিকাশে প্রণয়ন করা হয়েছে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ও তথ্য অধিকার আইন।

তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছি। ইন্টারনেট ডেনসিটি ও সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে নতুন সাবমেরিন ক্যাবল। আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। জনগণ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, উপজেলা ই-সেন্টার এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সেবাগ্রহণ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি স্থাপন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারসমূহে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু ও টেলিমেডিসিন সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়াবহতম সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং চালু থাকার ফলে খুব অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সরকারি দিক-নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা ঘরে তুলতে এবং জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নততর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করি।’


banner close